নজরুল ইসলাম,নান্দাইল প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইলে গত ৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত ৭ নং মুশুল্লি ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের নগর কচুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পুনরায় ভোট গণনার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ৩ ইউপি সদস্য প্রার্থী ।

বুধবার (১৯জানুয়ারী) দুপুর ২ টায় নান্দাইল ডিজিটাল প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৩ ইউপি সদস্য প্রার্থী। লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭ নং মুশুল্লি ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে আমরা সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করি। নির্বাচনের দিন ইউপি সদস্যের ভোট গণনার সময় ভোট কক্ষ তালাবন্ধ করে আমাদের ৩ জনের এজেন্টের বের করে দেয়। পরে আমাদের প্রতিপক্ষ বিজয়ী ইউপি সদস্য প্রার্থী মো. স্বপন মিয়া প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও কেন্দ্রে দায়িত্ব থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্ণীতি ও কারচুপির করে। লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, সন্ধ্যার পরে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা একেক সময় একেক জনকে বিজয়ী ঘোষণা করে। সর্বশেষ ১৮ ভোটে মো. স্বপন মিয়া (তালা প্রতীক) বিজয়ী ঘোষণা করে। রেজাল্ট সীটে ভোটের ফলাফল উল্লেখ না করে আমাদের ৩ ইউপি সদস্য প্রার্থীর এজেন্টের স্বাক্ষর নিয়ে নেয়। অনেক টা তড়িঘড়ি করে ফলাফল ঘোষণা করে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা। এতেই বুঝা যায় কেন্দ্র ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩২৬৩ জন। তার মধ্যে ২৩৮৩ ভোট কাষ্টিং হয়। বাতিল হয় ৭৪ ভোট। খায়রুল ইসলাম (মোরগ প্রতীক)৪৪৬ ভোট,সাদ্দাম হোসেন (ফুটবল প্রতীক) ৫১৫ ভোট,রফিকুল ইসলাম (টিউবওয়েল)৬৬০ ভোট, স্বপন মিয়া (তালা প্রতীক) ৬৮৮ ভোট।১৮ ভোটে স্বপন মিয়াকে বিজয়ী করে। প্রতিপক্ষ বিজয়ী প্রার্থী মো.স্বপন মিয়া কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে বল প্রয়োগের মাধ্যমে তাকে বিজয়ী ষোষণা করায়। আমরা ৩ জন সদস্য প্রার্থী নগর কচুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় ভোট গণনার জোর দাবী জানাচ্ছি। এব্যাপারে রিটানিং কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য প্রার্থী মো.খায়রুল ইসলাম,মো. সাদ্দাম হোসেন,মো.রফিকুল ইসলাম রফিক। বিজয়ী ইউপি সদস্য মো.স্বপন মিয়ার সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। রিটানিং কর্মকর্তা মো.সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগকারীদের জানানো হয়েছে গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন অথবা নির্বাচন ট্রাইবুনালে মামলা করার জন্য।